স্মার্টফোনের আসক্তি কমানোর উপায় নিয়ে আজকের টিপস। প্রযুক্তির কল্যাণে সবার হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন। দিনের বেশির ভাগ সময়ই কাটে এ ডিজিটাল ডিভাইসে। কাজে হোক কিংবা অকাজে, অনেকে এ স্মার্টফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছেন। করোনা মহামারির সময় থেকে এ ধরনের আসক্তি ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। এই আশক্তি শারীরিক ও মানুষিক ক্ষতি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সারা দিনে গড়ে তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় ফোনের পেছনে ব্যয় করেন। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সময়টা অনেক বেশি। তারা গড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল ফোনকে দেন। যে কোনো অভ্যাস তৈরি হতে প্রায় ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। সে অভ্যাস আবার ছাড়তে গেলে প্রায় একই সময়ের প্রয়োজন হয়।

স্মার্টফোনের খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচার উপায়:

স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য একটি সময় সেট করতে হবে। হতে পারে সেটা সকালে আধা ঘণ্টা, দুপুরে ১৫ মিনিট, রাতে আধা ঘণ্টা। এর জন্য অ্যালার্ম লাগানোর দরকার হলে সেটি লাগাতে হবে।

কতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন সেটি মনিটর করুন। প্রতিদিন আগের দিনের চেয়ে কম সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে স্মার্টফোনের আসক্তি কমবে।

দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য ফোন বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে ফোনও কিছুটা আরাম পাবে।

ফোনের নোটিফিকেশন লিমিট করে দিতে হবে। ফলে বারবার ফোনের সোশ্যাল মিডিয়া, মেইল অথবা মেসেজিং অ্যাপের নোটিফিকেশন আসবে না। এর ফলে বারবার ফোনের দিকে নজর যাবে না।

দিনে কিছু ঘণ্টার জন্য ফোনের ডেটা অফ করে দিতে হবে অর্থাৎ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে হবে। এতে ফোনের ব্যাটারির সাশ্রয় হবে এবং ফোনের দিকে সহজেই নজর যাবে না।

পড়াশোনা করার সময় নিজের ফোন অন্য কারও কাছে জমা রাখতে হবে। যদি নিজেদের কাছে ফোন থাকে, তাহলে বারবার সেই ফোনের দিকেই নজর যাবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এ সময় ফিচার ফোন ব্যবহার করুন। স্মার্টফোন বাড়িতে রেখে পরিবারসহ বাইরে ঘুরতে যান।

আপনার সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন। কোন সময়টা বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে সেদিকে নজর রাখুন। স্মার্টফোন ব্যবহারের ভালো মন্দ দুটি দিক সম্পর্কে ধারণা দিন। সন্তানকে সময় দিন এবং তাকে নিয়ে পরিবারসহ দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে যান। আর এই সময়ে স্মার্টফোন এড়িয়ে চলুন।