সাভারে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করায় পরিবারের উপর অভিমান করে শাহীন ইসলাম (২২) নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার নিহতের নিজ বাড়িতে এ আত্মহত্যা ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক হারুন মিয়া।
উল্লেখ্য, নিহত শাহীনের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়নের চাপরাইলে। কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেমের একমাত্র ছেলে শাহীন।
শাহীন আশুলিয়ার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সিটি ইউনিভার্সিটির’ স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শাহীনের কাছের কয়েকজন বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, ছোটবেলা থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। এবং সে বাইক চালাতে খুব পছন্দ করতো। কিন্তু গত বছরের রোজার মাসে নিহত শাহীন ও তার আরেক বন্ধু মেহেদী বাইক এক্সিডেন্ট করেন। এতে বাইকের চালক মেহেদী মারা যায়।
তারপর থেকেই শাহীনের পরিবার তাকে বাইক চালাতে নিষেধ করে। মূলত এ নিয়েই আজ সকালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শাহীনের মনমালিন্য ও বাকবিতন্ডা হয়। পরে পরিবারের উপর অভিমান করে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় শাহীন। পরে অনেকক্ষণ যাবত দরজা না খোলায় ভেতরে ঢুকে শাহীনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা। তার পরিবার উক্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো: হারুন মিয়া বলেন, সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি মোটরসাইকেল (বাইক) চালাতে নিষেধ করায় শাহীন পরিবারের উপর অভিমান করে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও চলমান রয়েছে।