যশোরে সেপটিক ট্যাংকে কলেজছাত্রীর লাশ, প্রেমিক আটক

যশোর জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিক্ষাবার্তা।

0
362
যশোরে সেপটিক ট্যাংকে কলেজছাত্রীর লাশ
জেসমিন আক্তারকে হত্যার দায়ে প্রেমিক অঙ্কুরকে আটক করা হয়।

যশোরে সেপটিক ট্যাংকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার, সাথে প্রেমিকেও আটক করা হয়েছে। যশোর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী জেসমিন আক্তারের লাশ শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের প্রেমিক অঙ্কুরের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।

শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে বুরুজবাগান গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আহসান কবীরের বাসার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ছাত্রী জেসমিন আক্তারের (১৮) অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জেসমিন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাজিরহাট কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেসমিন যশোর পলিটেকনিক কলেজের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করত। আসামি আহসান কবীরও একই কলেজে পড়তো। সে সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৮ দিন আগে জেসমিন নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন মনে করেন যশোর শহরে থেকে জেসমিন নিখোঁজ হয়েছে। আর সে কারণে যশোর কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। অনেক খোঁজা খুঁজির পর জেসমিনের লাশ শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের প্রেমিকের বাসার পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র গণমাধ্যম কে জানায়, তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্কের অবনতি ঘটলে আসামি আহসান কবীর কৌশলে জেসমিনকে তার বাসায় এনে গলা কেটে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে।

যশোর শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আকিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তারের দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠি আহসান কবীর অঙ্কুরের বাসাতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় চারদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেপটিক ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির লাশটি খুঁজে পাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

এদিকে খুলনা র‌্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবীর অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠিকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তার স্বীকারোক্তিতে অঙ্কুরের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত জেসমিনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তারা তাদের মেয়ের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।