যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগামী বৃহস্পতিবার বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপিকে কড়া বার্তা দিতে চায় দলটি। খুলনা বিভাগের সাত জেলার কমপক্ষে আট লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে হবে এ জনসভা। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশগুলোর চেয়ে বড় জমায়েত করতে চায় দলটি। নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং-দ্বন্দ্ব ভুলে গোটা যশোর শহরটাই সমাবেশস্থলে পরিণত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, অনেক আগে থেকেই মানুষ জনসভাস্থলে আসতে শুরু করবে। ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। একই স্টেডিয়ামে ৫০ বছর পর এ জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোর ঈদগা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবারের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

এরই মধ্যে শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামকে নতুনরূপে সাজানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের জীর্ণ গ্যালারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে স্টেডিয়াম ও ডা. আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠ একাকার হয়েছে। বিশাল মাঠে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যশোরে আট লাখ মানুষের সমাবেশ
প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

জনসভা সফল করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা তৃণমূলে জনসংযোগ করছেন। সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকীকরণ, ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন, বেনাপোল বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক জোন সৃষ্টি, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়ীতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে রাজপথে আছেন তাঁরা। এসব দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে এরই মধ্যে রাজপথে মানববন্ধন, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এদিকে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা। এ অঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা শুনতে উন্মুখ হয়ে আছেন লাখ লাখ মানুষ।’