বরিশালে সিটি নির্বাচনের আমেজ বিরাজ করছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিল বোর্ড আর ব্যানারে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে মহানগরীতে। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলেছে। ভিতরে ভিতরে প্রার্থী চূড়ান্ত করে কৌশলী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে জাতীয় পার্টি আগের প্রার্থীর ওপর আস্থা রেখেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কায়। এদিকে সিদ্ধান্তহীন বাসদ। অন্য কোনো দলের সিটি নির্বাচন নিয়ে তেমন তৎপরতা নেই।
দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আগামী ১৫ মে’র পরের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বরিশালসহ অন্য সিটি নির্বাচন সরকারের এসিড টেস্ট হতে পারে সেই ভাবনায় আগে থেকে সাবধানী আওয়ামী লীগ। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ একই সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় মহানগর এবং ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সাজিয়েছেন নিজের মতো করে।
তাকেই মেয়র প্রার্থী ধরে সিটি নির্বাচনের কৌশলগত প্রচারণা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সভাপতি এবং সম্পাদক যে অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন সেখানেই সিটি এবং জাতীয় নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট চাইছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার মেয়র পদে মনোনয়ন চাওয়ার বাসনা থাকলেও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন ছাড়া প্রকাশ্যে বলছেন না কেউ। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, সিটি নির্বাচনে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রে ইউনিট কমিটি করা হয়েছে। মহানগর এবং ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন বর্তমান মেয়রকে প্রার্থীর প্রস্তাব রেখে কেন্দ্রে রেজুলেশেন পাঠাবে।