প্রাথমিকের ৩৭ হাজার শিক্ষক ঈদের আগেই বড় সুখবর পেলেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দৈনিক শিক্ষাবার্তা।

0
345
প্রাথমিকের ৩৭ হাজার শিক্ষক ঈদের আগেই বড় সুখবর পেলেন

প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকের ৩৭ হাজার শিক্ষক চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি যোগদানের পর আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও বেতন ভাতা পাননি। এত দিন বেতন ছাড় করতে না পারলেও ঈদের আগেই তাদের বেতন ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গণমাধ্যম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সচিব বলেন, নতুন যে ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন, এরমধ্যে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) প্রভিশন অনুযায়ী (পিডিবি-৪) এর দুইভাবে বেতন পাওয়ার কথা। ২৬ হাজারের কাছাকাছি যাদের বেতন, তারা পাবেন (পিডিবি-৪) প্রকল্প থেকে। আর বাকিরা রাজস্ব খাত  থেকে বেতন ভাতা পাবেন।

এভাবে নিয়োগপত্রে ডিপিই দলিল অনুসারে আমরা শর্ত আরোপ করেছিলাম। আগে শিক্ষকদের বেতন ভাতা আইবাসের মাধ্যমে হতো না, এখন যেহেতু আইবাস প্লাস প্লাসে গিয়েছে, সে কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে যে যেহেতু তারা রাজস্ব খাতের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক। আর ডিপিইতে বলা আছে, প্রকল্প চলাকালীন প্রকল্প খাত থেকে পাবেন, তারপর রাজস্বতে যাবেন, এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল‍।

তিনি আরও বলেন, আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে এটি খাপ খায়নি। এ কারণে ২৬ হাজার বেতন যাদের, তাদের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে রোববার আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ সভা হয় এবং গতকাল বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি আমরা। এখন তারা আর প্রকল্প থেকে বেতন পাবেন না। সবাই রাজস্ব খাত থেকেই বেতন ভাতা পাবেন। মূলত এটি আইবাস প্লাস প্লাসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে করা হয়েছে।

আর এই প্রক্রিয়াটি চলমান করতে আমাদের সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ ঈদের আগেই তারা সবাই রাজস্ব খাত থেকে বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা নির্ধারণের সফটওয়্যার হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস++)। চলতি বছরে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একবারে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রাথমিকের এই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অনুমোদিত পদ ছিল ৩২ হাজার ৫৭৭ জন। সেখানে পদ সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।