এক কোটি স্কুলশিক্ষার্থী পাবে করোনার টিকা

এবার তিন সপ্তাহে এক কোটি স্কুলশিক্ষার্থী পাবে করোনার টিকা। সিটি করপোরেশনের পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন দেওয়া শুরু হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু করে এই কর্মসূচি চলবে অক্টোরের শেষ পর্যন্ত। তিন সপ্তাহের এই ক্যাম্পেইনে ১ কোটির বেশি স্কুলশিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার পরিককল্পনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক গণমাধ্যম কে বলেন, দেশের ৪২৭ উপজেলাতে শিশুদের টিকা বিশেষ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। চলবে এই মাসের শেষ পর্যন্ত। এসময়ে ১ কোটির বেশি স্কুল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে। একদিন শুধু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুলের বাইরে থাকা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদেরকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে সারা দেশে একযোগে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম। পরিচালিত হবে। টিকার এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি ওয়ার্ডে ২৫টি করে টিম কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি পেডিয়াট্রিক ফর্মুলেশন ফাইজার বায়োএনটেক কমিরনিটি টিকা দেওয়া হবে। সারা দেশের সোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টিকার দুই ডোজ আট সাপ্তহের ব্যবধানে নিতে হয়। এদিন শিশুদের স্কুলকেন্দ্রীক ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে। পরবর্তীকালে তা কমিউনিটি পর্যায়ে দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, ইতোমধ্যেই সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে উল্লিখিত বয়সসীমার শিশুদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের পর কোভিড-১৯ টিকা কার্ড দেখিয়ে নিকটস্থ স্কুল ভ্যাকসিনেশন সেন্টার এবং পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুলবহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র হতে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান/ প্রতিনিধি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রর সময় নির্ধারণ করবেন।