জাল সনদে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক শিক্ষাবার্তা।

0
336
জাল সনদে শিক্ষক

জাল সনদে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ আর নেই বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সারাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদ নিয়ে কর্মরত আছেন বেশ কিছু শিক্ষক। কিন্তু জাল সনদধারী কতজন শিক্ষক কর্মরত আছেন সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য নেই শিক্ষা প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যম কে বলেন, জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক কর্মরত আছেন তারা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া। এসব শিক্ষকের নিয়োগ ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগে। এখন জাল সনদে শিক্ষক পদে নিয়োগের কোনো সুযোগ আর নেই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এনটিআরসিএ নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ সুপারিশ করে থাকে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যারা নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ অর্জন করেছেন কেবল তারাই জাতীয় মেধাতালিকায় স্থান পান। এনটিআরসি-এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে কোনো জল সনদধারী থাকার কোনো সুযোগ নেই।

সচিব উল্লেখ্য করেন, যদি কোনো শিক্ষক জাল সনদ সংগ্রহ করেন তাহলে তিনি মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। এমনকি তারা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনও করতে পারবেন না। তাই জাল সনদে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের কোনো সুযোগ আর নেই।

অনেক জাল সনদধারীরা এনটিআরসিএ-তে কর্মরতদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জাল সনদ তৈরি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক পদে চূড়ান্ত সুপারিশের প্রলোভন দেখিয়ে এনটিআরসি-এর কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পরিচয় ব্যবহার করে অনেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের সম্পর্কে জানতে চাইলে এনটিআরসি-এর কর্মকর্তারা বলেন, এনটিআরসি-এর কোনো কাজে হস্তক্ষেপের বিন্দু মাত্র সুযোগ নেই।

এদিকে প্রার্থীদের এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, টাকা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আপনারা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে এসে খোঁজ নেবেন কিভাবে আমরা এ কাজগুলো করি। তাছাড়া সফটওয়্যারে মানুষের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। তাই লোভে পড়ে কোনো প্রতারককে টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মরত আছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন শুরু করছে। ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর জাল সনদে কর্মরত ১ হাজার ১৫৬ জন শিক্ষককে শনাক্ত করেছে। ডিআইএ তাদের তালিকা প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তাদের সনদ আসলেই জাল কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে জাল সনদধারী বহু শিক্ষক চাকরি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।