খুব শীঘ্রই আসছে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি।বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
এনটিআরসিএ এর বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১৬টি নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করেছে। পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ অর্জন করেছেন ৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৯ জন। তাদের মধ্যে স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজারের বেশি নিবন্ধনধারী কর্মরত রয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে এমন নিবন্ধনধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে না। ৩৫ বছর অতিক্রম হওয়া নিবন্ধনধারীদের বাদ দিলে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৬ জন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক শিক্ষাবার্তা কে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ বছর অতিক্রম হওয়া নিবন্ধনধারীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন না। পাবে করোনার কারণে সরকার চাকরির বয়সে ছাড় দিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরাও চাকরির বয়সে ছাড় দেব। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৩৫ বছর হয়েছিল, কেবল তারাই আবেদনের সুযোগ পাবেন।
তিনি আরো বলেন, শূন্যপদের তথ্য দুই অধিদপ্তর থেকে যাচাই হয়ে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিগগিরই স্কুল-কলেজের শূন্যপদের তথ্য যাচাই হয়ে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি। শূন্যপদের তথ্য পাওয়ার পরই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হবে।
এদিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না এনটিআরসিএ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কিংবা ১৩তম নিবন্ধনের রিট বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় কবে নাগাদ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারছে না সংস্থাটি।
জানা গেছে, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আড়াই হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের জন্য আদালতে রিট করেছিলেন। আদালত রিটকারীদের নিয়োগ দিতে রায় দেয়। তবে এনটিআরসিএ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এনটিআরসিএ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক শিক্ষাবার্তা কে বলেন, আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং ১৩তম নিবন্ধনের রিটকারীদের বিষয়টি সুরাহা হওয়া মাত্র গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।